রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
রাজবাড়ী প্রতিনিধি::
২১শে ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা আন্দলনের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা খুশি রেলওয়ে ময়দানে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাজবাড়ীবাসী তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করলো।
রাত ১২টা ১ মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসন কর্তৃক শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী ১ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। পরে পুলিশ সুপার আসমা সিদিকা মিলির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজবাড়ী জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বৃন্দ। জেলা পরিষদের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন, জেলা পরিষদ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার ও কর্মচারী কর্মকর্তা বৃন্দ। রাজবাড়ী স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন সিভিল সার্জন মো. রহিম বকস ও সহ অন্যন্য কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজবাড়ী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
তারা পর থেকে সাধারন মানুষের জন্য উনমুক্ত করে দেওয়া হয় শহীদ মিনার। পরে মধ্য রাত থেকেই শুরু হয় সাধারন মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন।
পরে সকাল ৮টায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক্ব কাজী ইরাদত আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফকির আব্দুল জব্বার, পৌর মেয়র মহাম্মদ আলী চৈাধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
এর আগে প্রথম প্রহরে আরো শ্রদ্ধা নিবেদন করে। রাজবাড়ী প্রেস ক্লাব এর পক্ষ থেকে সভাপতি খান মো. জহুরুল হকের নেতৃত্বে অন্যন্য সাংবাদিক বৃন্দ শ্রদ্ধানঞ্জলি অর্পন করেন। দৈনিক মাতৃ কণ্ঠ পত্রিকার পক্ষে শ্রদ্ধানঞ্জলি অপর্রন করেন মাতৃকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক বৃন্দ। জেলা তথ্য অফিস রাজবাড়ী, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পানি উন্নয় বোড রাজবাড়ী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে জেলা জাতীয় পাটির পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন, জাতীয় পাটির সভাপতি এ্যাডঃ হাবিবুর রহমান বাচ্চু। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পাটির সহ যোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় সরকারী বেসরকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধানঞ্জলি অর্পন করলেও প্রভাতের শুরুতেই শহীদ মিনারে ব্যাপক মানুষের ঢলনামে। বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, আধাসরকারী, সায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গন।